চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে আর দিন কয়েকের অপেক্ষা। আসন্ন টুর্নামেন্টটি সামনে রেখে মাঠের প্রস্তুতিতে কয়েকদিন আগেই নেমে পড়েছে বাংলাদেশ দল। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। এর একদিন পর ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তরা। টাইগারদের প্রথম প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। এরপর পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে টাইগারদের।
যে কারণে প্রশ্ন উঠছে তিনটি ম্যাচই বড় দলের বিপক্ষে, সে হিসেবে জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু। তবে টাইগারদের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স মনে করছেন, বাংলাদেশ দলের ভালো সম্ভাবনা আছে। আজ সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় কথা বলেছেন দলের সম্ভাবনা নিয়ে।
সিমন্স বলছিলেন, ‘এই বিশ্বাস না থাকলে আমি এখানে থাকতাম না। আপনি যেকোনো টুর্নামেন্টেই যান না কেন, নিজের সেরা প্রস্তুতি নিয়ে নিজের সেরাটা খেলতে চাইবেন। আমি এটাই করতে চাই, প্রতিবার। ক্যারিবিয়ানে ওয়ানডে সিরিজ ভালো না হলেও আমরা শেষটা ভালো করেছি। আমি মনে করি আমাদের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে, যদি সামর্থ্যের সবটা দিতে পারি।’
বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। পরের দুটি ম্যাচ পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। মূলত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুটা দুবাইতে করবে টিম টাইগার্স। এ নিয়ে সিমন্স বলেন, ‘প্রথম প্রস্তুতি দুবাই নিয়ে। রাইট ফ্রেম অব মাইন্ড পেলে, দুবাইয়ে ভালো শুরু পেলে ভালোই হয়। ওখানকার কন্ডিশন অনেকটা বাংলাদেশের মতো।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সব ধরণের অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ দল। এ নিয়ে সিমন্সের ভাষ্য, ‘এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ কারণেই আমরা দিনে ব্যাট করব, বল করেছি। আবার সন্ধ্যায় ফ্লাডলাইটের আলোতেও প্র্যাকটিস করব। ৫০ ওভারের ব্যাটিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেবো।’
ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ছিলেন এতদিন। যে কারণে সেরা প্রস্তুতি হয়েছে কি না প্রশ্নে সিমন্স বলেন, ‘হ্যাঁ আমি আপনার সাথে একমত যে আমরা সেরা প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তবে তারা ক্রিকেটের মধ্যেই ছিল তাও সাদা বলের ক্রিকেট। তার মানে স্কিলের দিক থেকে তারা শাণিত আছে। আগামী ৬-৭ দিনে মানসিকভাবে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। তাদের স্কিল আছে, ভালোও খেলেছে, এখন শুধু ওয়ানডে ফরম্যাটের মানসিকতায় প্রবেশ করলেই হবে।’