প্রিমিয়ার লিগে রোববার একইদিনে দুই হেভিওয়েট দল বড় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে। চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে ৭-২ গোলে বিধ্বস্ত করে চমক দেখিয়েছে এ্যাস্টন ভিলা। অপরদিকে হোসে মরিনহোর টটেনহ্যাম হটস্পার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিতে কোন কার্পণ্য করেনি।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে দুই শীর্ষ দলের এত বড় ব্যবধানের পরাজয় এই প্রথম। এর মাধ্যমে ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম দুই সফল ক্লাব লিভারপুল ও ইউনাইটেড বড় লজ্জার জন্ম দিল। প্রিমিয়ার লিগে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মত ইউনাইটেড কোন দলের কাছে ছয় গোল হজম করলো। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইউনাইটেডর এই লজ্জাজনক ইতিহাস জন্ম দেবার পর ভিলা পার্কে লিভারপুল ১৯৬৩ সালের পর প্রথমবারের মত সাত গোলের লজ্জায় ডুবলো।
১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম ইউনাইটেড মৌসুমের প্রথম দুটি হোম ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল। একইসাথে ২০১১ সালের পর ওলে গানার সুলশারের গায়ে নিজেদের মাঠে ম্যানেজার হিসেবে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের তকমাটা সেঁটে গেল। ম্যাচ শেষে তাই হতাশ সুলশার বাধ্য হয়েই বলেছেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে দিন ছিল এটি। এটা সত্যিই দারুন অস্বস্তিকর, যা সব খেলোয়াড়কেই হতাশ করে তুলেছে। ম্যানেজার হিসেবে আমি দারুন হতাশ। সব দোষ আমি মেনে নিচ্ছি, এই দায় আমার। একইসাথে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন আমি করবো।’
জার্মান কোচ জার্গেন ক্লপের অধীনে এই প্রথম এত বড় পরাজয়ের অভিজ্ঞতা নিল লিভারপুল। রেডস বস বলেছেন, ‘আমরা ভুল জায়গায় বলের পজিশন হারিয়েছি এবং নিজেদের সঠিকভাবে রক্ষা করতে পারিনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরেও ম্যাচের আবহ বুঝতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমারও সুযোগ সৃষ্টি করেছি কিন্তু সেগুলোকে যথাসময়ে কাজে লাগাতে পারিনি। মূল কাউন্টার এ্যাটাক থেকেই আমরা আজ পিছিয়ে পড়েছিলাম। এই দায়ভার আমাদের সবার।’
(সুত্র:বাসস)