বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে ই-কমার্সে যে সকল গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন, তাদের সমস্যা সমাধানে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতারকদের বিরুদ্ধেও সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যেসকল গ্রাহকের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা আছে, আইনি কোন জটিলতা নেই, তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে এ সকল টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল আয়োজিত ডিজিটাল কমার্স ব্যবসার সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা এবং ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য ডিজিটাল বিজনেস আইডি প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
রোববার ডিজিটাল বিজনেস আইডি প্রদানের মাধ্যমে ই-কমার্স একটি নতুন পদ্ধতির আওতায় এলো। এতে করে ই-কমার্সে প্রতারণা অনেকাংশেই কমে আসবে। এ বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজ ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য ডিজিটাল বিজনেস আইডি প্রদান শুরু করা হলো। ই-কমার্স পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলে এ আইডি গ্রহণ করলে প্রতারণার সুযোগ থাকবে না।
উল্লেখ্য, বাণিজ্যমন্ত্রী ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য ডিজিটাল বিজনেস আইডি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে আইডি প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চালডাল লি. ডায়বেটিস স্টোর, রকমারি ডটকম, আজকের ডিল, সাজগোজ লি., যাচাই ডট কম, তৃনাস ক্লোসেট, নওরীনস মীরর, আখিস কালেকশন(ফেসবুক শপ), নিথান(ফেসবুক শপ ও আনন্দমেলা মার্সেচন্ট), মম ফানুস(ফেসবুক শপ ও আনন্দমেলা মার্চেন্ট। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রেজিষ্টার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানি (আরজেএসসি) মাই গভ এ্যাপস এর মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য ডিজিটাল বিজনেস আইডি প্রদান করবে।