নোয়াখালীতে আবারও বাড়তে শুরু করছে বন্যার পানি। এ পানি যত বাড়ছে, ততই মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এর আগে গত দুদিনে কিছুটা কমলেও শনিবার রাত ১২টার পর থেকে টানা বৃষ্টিতে পানি আবার বাড়ছে। এখন পর্যন্ত জেলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেলা ৮৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে ১ লাখ ৫৩ হাজার লোক ঠাঁই নিয়েছে।
বন্যায় মৃতরা হলেন: সুবর্ণচর উপজেলা দক্ষিণ মোহাম্মদ গ্রামের কাকন কর্মকার (৩০), সেনবাগ উপজেলার পূর্ব ইয়ারপুর গ্রামের জিলহাদুল ইসলাম (২০) ও দক্ষিণ শোলাকিয়ার কালাতরপ গ্রামের আড়াই বছর বয়সের রিয়াল।
এদিকে, সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুর্শিদ আজ (রোববার) দুপুরে নোয়াখালী সফরে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করবেন। এছাড়া বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও রাজনৈতিক সংগঠন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কবিরহাট উপজেলায় ৮০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪ হাজার লোক ঠাঁই নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সরওয়ার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এস কে দেবনাথ জানান, এখন পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে দুজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
অন্যদিকে, বেগমগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকায় ডায়রিয়া ও পানিবাহিত কয়েকটি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ২৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বেগমগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস জানান, বেগমগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকায় পৃথকভাবে ৪৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের টিম এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
তিনি আরও জানান, পানি নামতে শুরু করায় ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে এ হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ২৫ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদেরকে খাবার স্যালাইনসহ সব প্রকার ওষুধ দেয়া হচ্ছে। ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের ওষুধের কোনো অভাব নেই। তবে পরিস্থিতি বেগতিক দেখলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।