বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার দেশটা স্বাধীন হয়েছে। এখন দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে। এটিই বিএনপির একমাত্র স্বার্থ। এছাড়া বিএনপির কোনো স্বার্থ নেই, চাওয়া-পাওয়াও নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যেন দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। দেশ সংস্কারের পরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ সরকার প্রতিষ্ঠিত করবে। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে দেশে ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠন হবে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজিত রাজাপুর ভূঁইয়ার হাটে বন্যা দুর্গতদের জন্য আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বন্যা কবলিত প্রায় ৬ শতাধিক মানুষের মাঝে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এতে ৮ জন চিকিৎসক রোগীদের সেবা প্রদান করেন।
এ্যানি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী শাসক আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন করেছে। তবে আমরা সরাসরি প্রতিশোধ নেব না। আমাদের প্রতিশোধের ভাষা হচ্ছে আইনগতভাবে। মামলা হবে, বিচার বিভাগ। আইনের মাধ্যমেই সবকিছু মোকাবিলা করতে হবে। সর্বোপরি আমরা রাজনৈতিকভাব তাদেরকে মোকাবিলা করব। তবে কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নেব না। এতে একদিকে বিচার ব্যবস্থা চলবে, আরেকদিকে দেশ গড়ার কাজ চলবে। এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। আপনার কাছে আহ্বান করছি, যারা গত ১৫ বছর ধরে গুম, খুন ও লুটপাটে জড়িত ছিল, তাদের বিচার করতে হবে। দুঃখ-কষ্টের মাঝেও এখন আপনাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। কারণ এখন আপনারা স্বাধীন। এখন আপানারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন। স্বাধীনভাবে চলাচল পারেন। এখন আর কারো কতৃত্ব নেই। ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থা নেই। হামলা-মামলার ভয় নেই। তবে আইনকে কোনোভাবেই হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।
এ সময় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।