নারী তারকাদের সৌন্দর্য মানেই বিতর্ক—এ যেন বিনোদন দুনিয়ার চিরন্তন সমীকরণ। বলিউড থেকে হলিউড—সব জায়গাতেই অভিনেত্রীদের সৌন্দর্যচর্চা, বোটক্স কিংবা প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে চলে নানা আলোচনা। তবে এবার সেই প্রশ্ন ঘুরে এল ঢালিউডে, আলোচনার কেন্দ্রে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
সম্প্রতি এক পডকাস্ট শোতে হাজির হয়ে জয়া বেশ খোলামেলাভাবেই মুখ খোলেন এই প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মানুষ বলে, আমার পুরো শরীর নাকি প্লাস্টিক সার্জারি করা। এটা কিন্তু আমি শুনেছি। আমার নাকি হেড টু টো সার্জারি করা!’
এরপর মুচকি হেসে যোগ করেন, ‘বোটক্স, এটা-সেটা ব্যবহার করি—এগুলো নিয়েও মানুষ বলে। অনেকে মনে করেন, আমি এসব কমেন্ট দেখি না। কিন্তু আমি মাঝেমধ্যে দেখি। আমাদের কমেন্ট বক্স দেখলে আমাদের দেশের পুরুষদের স্টেট অব মাইন্ডটা বোঝা যায়।’
তবে নিজের মুখে জয়া আহসান কখনোই সরাসরি স্বীকার বা অস্বীকার করেননি প্লাস্টিক সার্জারি প্রসঙ্গটি। বরং তিনি বিষয়টিকে একধরনের জীবনের অভিজ্ঞতা হিসেবেই দেখেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা খুব দরকার ছিল, ভালো হয়েছে তো, পচানি খাইছি না। সব কিছুতে কি সো-কল্ড সাকসেস হব? ভুল করেছি, সেটা বলব না। আমার লাইফে কোনো কিছু ভুল না—সেটাই নিয়ে আজকের আমি।’
শুধু সার্জারি নয়, নিজের কাজ ও সংলাপ নিয়েও নানাভাবে ট্রলের মুখে পড়েছেন জয়া আহসান। ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ২ ছবির ‘মারোওও’ সংলাপ এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম হয়ে ঘুরে বেড়ায়। পরবর্তীতে উৎসব ছবিতেও সেই সংলাপ নিয়ে ট্রল হয়।
কিন্তু ট্রল বা সমালোচনা, কোনো কিছুই জয়া আহসানকে থামাতে পারেনি। বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্রেও তিনি এখন সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত। সম্প্রতি তার অভিনীত তাণ্ডব, উৎসব, ডিয়ার মা ও পুতুল নাচের ইতিকথা সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে। এ ছাড়া গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ফেরেশতে। ওটিটিতেও প্রশংসা কুড়িয়েছে জয়া আর শারমিন এবং নকশীকাঁথার জমিন।