গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ। দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণঅভ্যুত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের আজকের এই দিনটিতে পতন ঘটে এরশাদের।
এদিন তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯০ পরবর্তী দুই দশকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘স্ব-পরিবারে জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় আমরা কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। আদালত ২১-এ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রদান করেছে। কোনও ষড়যন্ত্রই আমাদের সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।’ (বাসস)
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি