আসন্ন ঈদুল আযহায় নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মো. আতিকুল ইসলাম।
কোরবানি পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ডিএনসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শনিবার এক অনলাইন সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
এবার পশু কোরবানির জন্য ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করেছে ডিএনসিসি।
সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম কোরবানি পশুর হাট এবং কোরবানি পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কোরবানি পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের জন্য মনিটরিং জোরদার করা হবে। ইতিমধ্যে ১০ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে। মেয়র আরো বলেন, কোরবানি পশুর বর্জ্য অতি দ্রুত পরিষ্কার করে একটি দুর্গন্ধহীন সুন্দর শহর উপহার দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চাই একটি সুন্দর কোরবানি পশুর হাট এবং একটি সুন্দর শহর।
উল্লেখ্য, কোরবানি ঈদের দিন প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেয়া এবং যত্রতত্র কোরবানির পশুর বর্জ্য না ফেলতে জুমার নামাজের খুতবার সময় জনসচেতনতামূলক বার্তা শোনানোর জন্য প্রত্যেক মসজিদের ইমামগণকে মেয়রের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মাইকিং, লিফলেট, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যত্রতত্র পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকা এবং পরিবেশ সম্মতভাবে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিয়ে নির্ধারিত ব্যাগে বর্জ্য সংরক্ষণ করার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।