পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকদের প্রাচীন পেশা জুমচাষ হলেও জুম চাষে আগের মতো নেই কোনো জৌলস। তবুও ঐতিহ্য ও বংশ পরম্পরায় অনেকে এখনো জড়িয়ে আছেন এ পেশার সঙ্গে। পর্যাপ্ত সারের অভাব সহ বিভিন্ন কারণে দিনদিন কমে আসছে জুম চাষ।
সারাবছর রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে পাহাড়ে বিভিন্ন ফসল ফলায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা। এখন জুম চাষের ফসল ঘরে তুলার ভরা মৌসম। বর্ষার শুরুতে পাহাড়ের ঢালে ধানের সাথে হলুদ, ভুট্টা সহ নানান শাক-সবজির বীজ বুনে জুমিয়ারা।
বংশ পরম্পরার ঐতিহ্য ধরে রাখতে জুম চাষ করলেও এখন আর আগের মতো জৌলস নেই। পাহাড়ি মাটির উর্বরতা হ্রাস, পোকা মাকড়ের আক্রমণ আর কীটনাশক সারের অভাবে কমে আসছে জুম উৎপাদন।
একই পাহাড়ে কয়েকবছর টানা জুম চাষ, চাষের আগে আগুন লাগিয়ে অণুজীব ধ্বংসের ফলে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে বলে জানান কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।
চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়িতে ২ হাজার ২’শ ৫২ হেক্টর পাহাড়ী জমিতে জুম চাষ করা হয়েছে। কিন্তু কীটনাশক সার ব্যবহারের অভাবে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ পাহাড়ে জুম উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থাগ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জুম চাষীরা।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি