আজ থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নগরের বহদ্দারহাটে বহদ্দার বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় ও পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতা ও পূর্বপুরুষদের কবর জেয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন চসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করে প্রচারণার শুরুতে তিন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানে চট্টগ্রাম এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রাকে অধিকতর মসৃণ ও গতিশীল করতে আমি আমার দলীয় প্রতীক নৌকায় আপনাদের ভোট প্রত্যাশা করছি। পাহাড়, সমতল, সাগর, নদীর অপূর্ব সমাহারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অর্থনীতির অপার সম্ভাবনাকে জাতির জনক ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন। আর কেউ সেভাবে চট্টগ্রামকে মূল্যায়ন করতে পারেনি। চট্টগ্রামকে তারা অবহেলাও করেছে।
চট্টগ্রামের মানুষের ভালোবাসা ও রায় নিয়ে প্রয়াত জননেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথমে মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে উন্নয়নের নব দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন। তৎকালীন বিএনপি সরকারের চরম অসহযোগিতা সত্বেও তিনি করপোরেশনে আয়ের খাত সৃষ্টি করে চট্টগ্রামের অভাবনীয় উন্নয়ন সূচিত করেছিলেন। এ সময় রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সদস্য সামশুল আলম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদসহ নেতাকর্মীরা।
এদিকে আমানত শাহ মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
এসময় তিনি আসন্ন চসিক নির্বাচনে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় নগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর করোনা মহামারীর কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। প্রায় ১০ মাস পর আজ পুরোদমে ভোটের মাঠে নেমেছেন ৭ মেয়র ও ২৩৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী।