কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর পানি বিপদ সীমার ২৭ সেঃমিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে গড়াই নদীতে প্রথমে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়,এতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার শেখ রাসেল সেতু রক্ষা বাঁধে ভাঙন ও কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শহর রক্ষা বাঁধে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এছাড়াও লালন আবাসনের ৫১ টি পরিবার ভাঙন আতংক সহ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। তবে আজ গড়াই নদের পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর পানি যদি আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তাহলে নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হবে বলে আশংকা করেছে এলাকাবাসী।
এদিকে গত ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও গড়াই নদের উপর নির্মিত শেখ রাসেল সেতু রক্ষা বাঁধ ঠেকাতে নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। অন্যদিকে ১ মাস অতিবাহিত হলেও লালন আবাসনের ভাঙন রোধে জি,ও ব্যাগ ফেলানোর কথা থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কার্যক্রমের চোখে পরেনি। গড়াই নদীর যৌবন ফিরলেও কুমারখালী -যদুবয়রা খেয়া ঘাটটিও ডুবে জনসাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে দিগুন।খোকসা শহর রক্ষা বাঁধও রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দীন আহমেদ বলেন,গত এক সপ্তাহ থেকে গড়াই নদের পানি ১২.৪৮ সেঃমিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।তবে আজ থেকে পানি আর বৃদ্ধি পাবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।