কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে পর্যটক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম আশিক ওরফে টনের্ডো আশিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ১২টি মামলা হয়েছিল। এসব মামলায় পাঁচবার পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিলেন। নারী পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনায় নিজেকে আত্মগোপন করতে একটি এসি মাইক্রোবাস ভাড়া করে পটুয়াখালীতে যাচ্ছিলেন। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) র্যাবের গোয়েন্দারা মাদারীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, নারী পর্যটককে ধর্ষণের পর থেকে আশিকুল প্রথমে দুই দিন কক্সবাজারে আত্মগোপনে ছিলেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন তাকে যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। এরপর পটুয়াখালীতে আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।
এই র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি এসি মাইক্রোবাস ভাড়া করে পটুয়াখালীতে যাওয়ার সময় মাদারীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। টর্নেডো আশিকের একটি গ্যাং আছে। যারা কক্সবাজারে জোরপূর্বক বিভিন্ন বাসা-বাড়ি কমদামে ভাড়া নিয়ে সেখানে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা আছে। এসব মামলায় পাঁচবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।