জয়পুরহাট চিনিকলে ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মৌসুমে ২৩ হাজার ২২২ দশমিক ৭ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন হয়েছে এক হাজার ১৯৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। শনিবার রাত ১২ টায় জয়পুরহাট চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
চিনিকল সূত্র জানায়, দেশের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনের ভারী শিল্প জয়পুরহাট চিনিকলের ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মৌসুমে ৩০ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে এক হাজার ৮ শ ৬৬ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২৩ হাজার ২২২ দশমিক ৭ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে এক হাজার ১৯৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে। চিনি আহরণের শতকরা হার ছিল ৫ দশমিক ১৩ ভাগ। মিল চালু ছিল ১৯ দিন।
শনিবার রাত ১২ টায় জয়পুরহাট চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। জয়পুরহাট চিনিকলের এটি ৬০ তম আখ মাড়াই মৌসুম। ৮ কোটি টাকার আখ কেনা হলেও এ পর্যন্ত কৃষকদের পাওনা সাড়ে ৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানান, জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থপানা পরিচালক কৃষিবিদ মো: আখলাছুর রহমান।
চিনিকলের আখ মাড়াই সক্ষমতা থাকলেও মূলত আখের অভাবে মাড়াই মৌসুমের সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য ফসলের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আখের মূল্যও বাড়িয়েছে সরকার। এবার মিলগেটে আখের মূল্য দেওয়া হয়েছে পার মেট্রিক টন ৪ হাজার ৪৫০ টাকা এবং বাইরের ক্রয় কেন্দ্রের জন্য ৪ হাজার ৪৪০ টাকা। ২০২২-২০২৩ মাড়াই মৌসুমে ২৫ দিন মিল চালু রাখা ও চিনি আহরণের শতকরা হার ধরা হয়েছিল ৬ দশমিক ২ ভাগ। আখচাষিদের মোবাইলের মাধ্যমে আখের মূল্য পরিশোধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।