দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সকালে মুন্সীগঞ্জে একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে একজনকে কুপিয়ে হত্যার সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।
বুধবার বিকালে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের জানিয়েছেন, এটা আসলে ভোটের সাথে সম্পৃক্ত নয়। ওই ব্যক্তি অন্য কোনো একটি মার্ডার মামলায় আসামি ছিলেন। ওই এলাকায় আসায় ছুরিকাঘাতে তিনি মারা গেছেন বলে পুলিশ সুপার আমাদের জানিয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করলে আমরা জানতে পারব।”
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমের টেঙ্গর শাহী মসজিদ তিন রাস্তার মোড়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে।নিহত জিল্লুর রহমান (৪৫) টেঙ্গর এলাকার শরীতুল মুন্সীর ছেলে। তিনি এই আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক।
পুলিশ সুপার আসলাম খান সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের বলেন, “ভোটকেন্দ্রের সামনে থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।”
টেঙ্গর শাহী মসজিদ তিন রাস্তার মোড়ের একদিকে টেঙ্গর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আরেক দিকে রিকাবিবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। দুটি বিদ্যালয়ই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র।
স্থানীয়রা জানান, সকালে টেঙ্গর শাহী মসজিদ তিন রাস্তার মোড়ে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের ব্রিফিংয়ে জাহাংগীর আলম জানান, জাল ভোট দেওয়ার কারণে এ পর্যন্ত তিনজনকে সাজা দে্ওয়া হয়েছে। একজন পোলিং এজেন্টকে জাল ভোট দেওয়ার সহায়তা করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।