বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার অভিযোগে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ১২ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান। মামলার আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল, তার ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, যুবলীগ নেতা ইশতিয়াক আহমেদ জয়, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান তারেক, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী।
সদর থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান বলেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে গোলাগুলিতে নিহত হন এক আন্দোলনকারী। যারা সে সময় গুলি চালিয়েছেন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের আসামি করা হয়েছে। বাকীদেরও তদন্ত করে বের করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তবে, প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে- সেদিন গুলিতে নিহত তরুণ বিআরবি ক্যাবলস কোম্পানির কর্মী। তিনি আন্দোলন বা প্রতিরোধকারি কোন পক্ষই ছিলেন না। নিজের কাজ বুঝিয়ে দিয়ে অফিস হতে বের হতে গিয়ে গোলাগুলির মাঝখানে পড়ে তিনি অনাকাঙ্খিত ভাবে নিহত হন। তিনি তার গ্রামের বাড়ি চকরিয়ায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। শেখ হাসিনা তার পরিবারকে গণভবনে নিয়ে গিয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন।