বন্যা পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হচ্ছিল ঠিক তখনই কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২৫ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনও বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অনেক ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে যায়নি। অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করলেও পানি বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় দুর্ভোগে পড়েছেন।
বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও তা সবার ভাগ্যে জুটছে না।
এদিকে দীর্ঘমেয়াদি বন্যায় খাদ্য ও অর্থ সংকটের কারণে চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষের ঈদের আনন্দ মলিন হয়ে গেছে। একবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করা এসব মানুষের ভাগ্যে এবার কোরবানির মাংস জুটবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। সূত্র: ইউএনবি