৮ম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ঐ ছাত্রীকে অভিভাবক ও স্থানীয়রা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন, পরে অবস্থা অবনতি হওয়ায় সন্ধা ৬ টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে প্রেরন করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। চিকৎসক বলছে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। ঘটনার পর আত্মগোপনে আছে অভিযুক্ত শিক্ষক। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে ধরতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
বরগুনার ৩নং ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের রফেজিয়া দাখীল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী একই পরিবারের দুই বোন। রবিবার বেলা ১২ টার দিকে মাদ্রাসা চলাকালে মাদ্রাসার শারিরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক সাইফুল কৌশলে গাইট বই দেয়ার কথা বলে মাদ্রাসার পাশে তারা বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ঘরের দ্বিতীয় তলায় জোর পূর্বক ধর্ষণ করে সে। কিছুক্ষুন পর বোনকে ক্লাসে না দেখে খুঁজতে শুরু করে তার আরেক বোন। এ সময় কান্নার শব্দ শুনে শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায় সে। পরে স্থানীয়রা ও অভিভাবকরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ধর্ষনের শিকার ছাত্রীর স্বজনরা ও এলাকাবাসী ধর্ষক শিক্ষক সাইফুলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে প্রাথমীকভাবে ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শাকিল তানভীর। আর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে ধর্ষীতার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল প্রেরন করা হয়েছে।
বরগুনা থানা পুলিশ ও পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষককে ধরতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন তারা। ধর্ষণের অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফুলের বাবা ঐ মাদ্রাসার হকারী শিক্ষক এবং ফুলঝুরি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, এবং ইউপি সদস্য।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি