দখল বুঝে নেওয়ার নামে হঠাৎ করে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত দেশপ্রিয় যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্তের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ঐতিহাসিক ভবনটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আনবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত বিকেলে নগরীর রহমতগঞ্জে ভেঙে দেওয়া ঐতিহাসিক বাড়িটি পরিদর্শনে যান স্থানীয় চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের সাংসদ উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
সার্বিক বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আনার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক বাড়িটিকে জাদুঘর করার দাবি উঠেছে। এ বিষয়ে অবশ্যই আমি ভূমিকা রাখব। যাত্রা মোহন সেন মানে জে এম সেন হলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এসে অনেক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তিনি আগেরবার প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়ও এখানে এসে প্রোগ্রাম করেছিলেন। সুতরাং উনি অনেক আগে থেকেই অবগত আছেন যে, জে এম সেনের বাড়ির ঐতিহাসিক মূল্য আছে। স্বাভাবিকভাবেই আমি বিষয়টি উনার দৃষ্টিগোচর করব। আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়েরও দৃষ্টিগোচর করব। জাদুঘর করার বিষয়ে সেখান থেকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
গত ৪ জানুয়ারি এম ফরিদ চৌধুরী নামে একজন আদালতের কাছ থেকে মালিকানা সংক্রান্ত দখলি আদেশ পেয়েছেন দাবি করে তার লোকজন বুলডোজার নিয়ে যাত্রামোহন সেনগুপ্তের (যতীন্দ্র মোহনের বাবা) বাড়িটি ভাঙতে যান।
এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষকদের জোরপূর্বক সেখান থেকে বের করে দিয়ে ভবনটির একাংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত স্থানীয়দের নিয়ে ভবনটির সামনে অবস্থান নেন। প্রতিরোধের মুখে তখন ভবন ভাঙা বন্ধ রাখা হয়। এরপর ৬ জানুয়ারি ওই বাড়ির দখল ও অবস্থানের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।