সিলেটে তানিয়া নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই স্বামী শফিকুল ইসলাম বাবু পলাতক রয়েছে। শফিকুল ইসলাম সিলেটে পুলিশে কর্মরত।
৬ মাস আগে পরিবারের সবার সহমতে নেএকোণা জেলার কেন্দুয়া থানার সান্দিকোনা ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামের বুলবুল খাঁ এর মেয়ে তানিয়ার (ভিক্টিম) সাথে নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার গন্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা গ্রামের রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে শফিকুল ইসলাম বাবুর (হত্যাকারী) বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সাথে সিলেটে বসবাস করতো নিহত তানিয়া। ৩ মে দিবাতগ রাতে নিজ ঘর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তানিয়া তার বাবা মাকে প্রায় সময় জানাত যে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম বাবু তাকে মাঝেমধ্যেই অত্যাচার করে এবং মাঝে মধ্যেই বলত যে তোর বাবাকে বল টাকা দিতে। এবং তার বাবা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। শফিকুলের দাবি একটা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের মোটরসাইকেল দিতে হবে, না দিলে তানিয়াকে ভয় দেখাত যে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে ।
কিন্তু তানিয়া থাকে ভয়ে কিছুই বলে নি সে অত্যাচার সহ্য না করতে পারায় সে স্বামীর অগুচরে তার আব্বা আম্মাকে বলে যে আমাকে বাড়িতে নিয়ে যাও। আমাকে তোমাদের স্বামী অত্যাচার করে। কিন্তু লকডাউন থাকার কারণে সিলেট যাওয়া হলো না তার বাবা মায়ের। মেয়েকে সান্তনা দিয়ে বলে যে মা, তুই থাক সমস্যা নাই লকডাউন এর পর তোর ভাইকে পাঠাব।
স্বামী তানিয়াকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ করেন নিহত তানিয়ার পরিবার।