পরিবেশগত কোন সমীক্ষা ছাড়াই সাভারে ধলেশ্বরী নদীর তীরে হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকায় গড়ে তোলা হয় চামড়া শিল্প নগরী ট্যানারি। যথাযথ পরিশোধন ছাড়াই কঠিন বর্জ্য সরাসরি নদীতে নির্গত হওয়ায় এখন মৃতপ্রায় ধলেশ্বরী নদী। একই চিত্র সাভার ঘিরে থাকা বুড়িগঙ্গা,বংশী ও গাজীখালি নদীর।
পাশাপাশি অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং শিল্প কলকারখানার দূষণে ক্রমেই সাভার হয়ে উঠেছে বর্জ্যের ভাগাড়। বসবাসযোগ্যতা হারাচ্ছে গোটা এলাকা।
এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাভারে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও জনপ্রতিনিধিরা।
বুধবার দুপুরে সাভার সেনানিবাসের গলফ হাউজ মিলনায়তনে “দুষনে বিপর্যস্ত সাভার; উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।
পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার প্রধান নির্বাহী এডভোকেট সৈদা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন,রেজাউল করিম বাবলু এমপি,খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর সুলতান আহমেদ,অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান,সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুল হক।
মতবিনিময় সভায় বলা হয়,চামড়া শিল্প নগরী অপরিশোধিত বর্জ্য ধলেশ্বরীতে নিঃসরণ আমিনবাজারে বন্যাপ্রবাহ এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ডাম্পিং স্টেশন স্থাপন করা খাল অবৈধ দখল দূষণ ও ভরাট ইপিজেড এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা অসংখ্য টেক্সটাইলস অটোমোবাইল ওষুধ শিল্প শিল্প দূষণের কারণে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আবর্জনার ভাগাড়ে। এর আগে তারা ট্যানারি,ধলেশ্বরী নদী ও কর্ণপাড়া খাল পরিদর্শন করেন।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি