গত ২৭ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে মারা যান। তিনি ধামইরহাট উপজেলার লক্ষনপাড়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে। নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ছিলেন। তিনি স্ত্রীসহ এক সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় আইন অনুযায়ী নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনের ভোট স্থগিত করা হতে পারে। এই বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, গত ৩ ডিসেম্বর এক পরিপত্রে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত কোনও প্রার্থী মারা গেলে ওই আসনে ভোট স্থগিত করা হবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্দেশনায় বলা হয়, বৈধভাবে মনোনীত কোনও প্রার্থী যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯১ক ও ৯১ঙ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী যদি প্রার্থিতা বাতিল হয়, তবে অনুচ্ছেদ ১৭ এর দফা (১) অনুসারে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার নির্বাচন কার্যক্রম বাতিল করতে হবে। এরপর গৃহীত ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, কমিশন ওই নির্বাচনি এলাকার জন্য নতুন তফসিল ঘোষণা করবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের মনোনয়নপত্র আগে বৈধ হয়েছিল তাদের নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। এমনকি জামানতের অর্থও জমা দিতে হবে না।
জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক (৭৫)।
এবারের নির্বাচনে প্রথমে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। উচ্চ আদালতের রিট আবেদনের মাধ্যমে ফেরত পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তবে নির্বাচনের মাঠে তার তেমন কোনও প্রচার-প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়নি।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. গোলাম মওলা জানান, উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থিতা ফিরে পেলে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন।
এই ঘটনায় নির্বাচনের এই আসনে আবার তফসিল হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিধি ও আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং আজ দুপুরের মধ্যেই তা জানানো হবে।
উল্লেখ্য, নওগাঁ-২ আসনে সরকার দলীয় এমপি শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর তোফাজ্জল হোসেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলমও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।