১৯৬৮ সালে ‘সংসার’ নামের একটি ছবি নির্মাণ করেন জহির রায়হান। চলচ্চিত্রটিতে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথমবার আত্মপ্রকাশ করেন ফরিদা আক্তার পপি। সেই ছবিতে তার নাম ছিল সুবর্ণা। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জ্বলতে সুরুজ কি নিচে’ চলচ্চিত্রে প্রথম তার নাম হয় ববিতা।
১৯৬৯ সালে ‘শেষ পর্যন্ত’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো নায়িকা নায়িকা হিসেবে পর্দায় হাজির হন ববিতা। ৭০-এর দশকে শুধু অভিনয়ের মাধ্যমে অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ববিতা অভিনীত দু-তিনটি ছবি মুক্তি পেতেই বিশ্বখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের নজরে পড়েন তিনি। সত্যজিৎ রায় ববিতাকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘অশনি সংকেত’।
ববিতা অভিনীত আলোর মিছিল, নয়নমণি, গোলাপী এখন ট্রেনে, সুন্দরী, কসাই, জন্ম থেকে জ্বলছি, ছবিগুলোকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাস্টার পিস চলচ্চিত্র হিসেবে ধরা হয়।
১৯৬৮ সাল থেকে শুরু করে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২৭৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। গ্রামীণ কিশোরী বধূ কিংবা শহুরে আধুনিক মেয়ে যে কোন চরিত্রে দেখিয়েছেন তাঁর সাবলীল অভিনয়। তার সময়ে তরুণীদের কাছে ফ্যাশনের অপর নাম ছিল ববিতা। ২০১৫ সালে ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ ছবিতে অভিনয়ের পর চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
১৯৭৫ সালে ববিতা স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করার গৌরব অর্জন করেন। একটানা তিনবার পান জাতীয় চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬ তে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন গুণি এই অভিনেত্রী।
বাংলাদেশী সিনেমার সর্বকালের গ্লামার কুইন ববিতার আজ ৬৭ তম জন্মদিন। ঢাকাই ছবির গৌরব ববিতার জন্মদিনে বিজয় টিভির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি