স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অগ্রগণ্যবাক্তিত্ব ও রবিন্দ্রত্তর যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার সেলিম আল দীন।১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার সেনেরখীল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বাংলা নাটকের শিকড় সন্ধানী এ নাট্যকার ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজ নাট্যে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকেতুলে ধরেছেন আপন মহিমায়।১৯৬৮ সালে প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘নিগ্রো সাহিত্য’ এর মধ্য দিয়ে সেলিম আল দীন প্রথম লেখক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন।
পাশ্চাত্য শিল্পের সব বিভাজনকে বাঙালির সহস্র বছরের নন্দনতত্ত্বের আলোকে অস্বীকার করে সেলিম আল দীন প্রবর্তন করেন ‘দ্বৈতাদ্বৈতবাদী শিল্পতত্ত্ব’ নামের এক নবতর শিল্পরীতির। দ্বৈতাদ্বৈতবাদী রীতিতে লেখা তার নাটকগুলোতে নিচুতলার মানুষের সামাজিক নৃতাত্ত্বিক পটে তাদের বহুস্তরিক বাস্তবতাই উঠে আসে।
তাঁর গবেষণায় প্রমাণিত হয় বাংলা নাটকের সুচনা উপনিবেশিক আমলে হেরসিম লেভেদেফের হাতে নয়। বরং বাঙালির হাজার বছরের নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক কৃত্তের মধ্যেই নাট্য বিদ্যমান।
নাটক ছাড়াও রচনা করেছেন অসংখ্য গান, কবিতা, উপন্যাস ও আত্মজীবনী। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদকসহ পেয়েছেন অসংখ্য সন্মাননা।
২০০৮সালের ১৪ জানুয়ারি মাহাপ্রয়াণ ঘটে বাংলা নাটকের এই প্রবাদ পুরুষের। আজ ১৮ আগস্ট বাংলা নাটকের কিংবদন্তী সেলিম আল দীনের ৭১ তম জন্মদিন।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি