ফেসবুকে নিজের অফিশিয়াল পেজ ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার সকালে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
তিনি লিখেন, ছিঃ! কীভাবে এই দৃশ্যটি আমি দেখি! ফোনে ফোনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই নির্মম নিষ্ঠুর ভিডিও আমারই দেশে তৈরি, এও বিশ্বাস করতে হবে? আমারই কোনো বোনকে লাঞ্ছনায় নরকের অতলে পৌঁছে দিচ্ছে আমারই পাশের বাড়ির এক ছেলে, এও আমাকে দেখতে হবে আমারই ভাইয়ের রক্তে ভেজা লাল–সবুজের দেশে?
নিষ্পাপ শিশু, সরল আদিবাসী, বেড়াতে যাওয়া আনন্দিত স্ত্রী, ঘরের কোণে সংসারী মা—সবাই হয়ে যাচ্ছে নরকের অঙ্গারে পোড়া ছবি। একের পর এক এই সর্বনাশা ঢেউ কোথায় ভাসিয়ে নিচ্ছে আমাদের? তাহলে কি মেনে নিতে হবে, ধর্ষণের অতিমারিই আমাদের গন্তব্য?
না। এই পরিণতি আমরা কখনোই মেনে নেব না। এ যদি পৌরুষ হয়, তাকে আমি বলি, ছিঃ। সবাই কণ্ঠ মিলিয়ে চিৎকার করে বলি, ছিঃ।
আর, তুমি এই হৃদয়ে উঠে এসো, দুঃখিনী বোনটি আমার।
ছোট পর্দার অভিনেতা অপূর্ব লিখেছেন, ‘স্টপ রেপ। স্ট্যান্ড অ্যাগেইনেস্ট রেপ, হোক প্রতিবাদ।’
ছোট ও বড়- দুই পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী মনে করেন, মৃত্যুদণ্ড এদের জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি লিখেছেন, ধর্ষণে প্রলুব্ধ করে মাথার ভেতরে বাস করা অমানুষটা। এই অমানুষগুলোর প্রকাশ্য শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘কঠোর শাস্তির ক্ষেত্রে মানবাধিকারের মায়াকান্না আমরা শুনতে চাই না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলেই এই জঘন্য অপরাধ কমবে।’
অভিনেত্রী মেহ্জাবীন চৌধুরী লিখেছেন, ‘ধর্ষককারীদের ফাঁসি দেওয়া হোক।’
অভিনেতা আফরান নিশো লিখেছেন, ‘প্লিজ স্টপ রেপ।’
‘ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই ধর্ষকদের কি হবে? এরা ফেসবুক ব্যবহার করে? নাকি স্ট্যাটাস পড়ে ভালো হয়ে যাবে? রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ দরকার!’ লিখেছেন ইউটিউবার এবং অভিনেতা শামীম হাসান সরকার।
ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড কিংবা ক্রসফায়ারে মারলেও কৃতকর্মের সাজা হিসেবে কম হবে বলে মনে করেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
ফেসবুকে সরব অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। তিনি লিখেছেন, ‘এই ধর্ষণের দেশ আর চাই না। মাননীয় এত ক্ষমতা দিয়ে কী হবে? দেশের নারী ধর্ষিত আর আমরা ধর্ষক!’
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি