জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে মানুষ অনেক ভুল ধারণা থেকে বের হয়ে এসে নতুন করে ভাবতে শিখেছে। যেমন আগে ভাবা হতো কফি পান করা একটি বদঅভ্যাস-যা কিনা শুধু শরীরের ক্ষতি সাধন ব্যতীত তেমন কোনো উপকারে আসে না। সময় বদলিয়েছে। গবেষণা বলছে পরিমিত পরিমাণে কফি পান করা ক্ষতিকর তো নয়ই বরং এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিও বটে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কফি পানের উপকারি দিকগুলো সম্পর্কে।
শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে:
কফিতে থাকে ক্যাফেইন যা মস্তিষ্কে ডোপামিন ও নোরপাইনফ্রাইন হরমোন নিঃসরণ করে। এর ফলে কফি খাওয়ার সাথে সাথেই আপনার শরীর চাঙা ও মস্তিষ্ক সচেতন হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, কফি আপনার নিউরনের কার্যকারিতাও বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম। এজন্য কফি পান করলে আপনি নিজেকে তরতাজা এবং প্রাণবন্ত অনুভব করতে পারেন।
গবেষণা বলছে কফি পানের ফলে আপনি কমিয়ে ফেলতে পারেন দুরারোগ্য সব অসুখের ঝুঁকি। পারকিনসন্স ডিজিজ, টাইপ টু ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের নানা অসুখ, যকৃতের ক্যান্সার বা লিভার সিরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে কফি খুবই কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। যেহেতু কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, এটি আপনার দেহ কোষগুলোকে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করবে।
নিয়মিত কফি পানে আপনার মানসিক বিষন্নতার মাত্রা অনেকাংশেই কমে আসবে। কেননা কফি পানের ফলে মানুষের মস্তিষ্কে যে সেরোটোনিন ও ডোপামিন হরমোন নিঃসরণ হয়, তা মনে এক ধরনের আনন্দদায়ক অনুভূতির সঞ্চার করে।
বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে:
নানান গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কফি মানব শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থেকে নিরাপদে রাখতে ভূমিকা পালন করে। কোলোরেকটাল ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার এবং এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের মত প্রাণঘাতী মারণ রোগ গুলো থেকে আপনার দেহকে নিরাপদে রাখতে কফি খুবই কার্যকরি।
কফি পানের ফলে আপনার মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় যা কি-না স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আর এ কারণেই আলঝেইমারস রোগ থেকেও আপনি অনেকাংশেই ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারেন।
পরিশেষে বলবো, আর সকল জিনিসের মতো কফি পানের অপকারিতা যেমন আছে, পরিমিত মাত্রায় কফি পান করলে আপনি অনেক ধরনের উপকারিতাও পাবেন।