ভিটামিন সি-এ ভরপুর লেবু আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকেই। হয় লেবুর শরবত নয়তো গরম ভাতে মাছ বা মাংসের ঝোলের সাথে এক টুকরো লেবু। লেবুর তৈরি আচারও মুখে রুচি আনে বেশ। আবার রূপচর্চার পর্বটি তো লেবু ছাড়া প্রায় অসম্ভব। কিন্তু লেবুর রস নেয়া শেষে খোসাটি কী করেন? ফেলে দেন নিশ্চয়ই? কিন্তু ফেলে না দিয়ে লেবুর খোসা ব্যবহার করা যায় অনেকরকম কাজে।
আমাদের প্রতিটি দিন নানারকম ব্যস্ততায় কাটে। হোক তা বাড়ির বাইরে কিংবা বাড়িতেই। কিন্তু দিনশেষে আমাদেরও প্রয়োজন পড়ে বিশ্রামের। নিজেকে সতেজ রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন লেবুর খোসা। কীভাবে? দিনশেষে যদি রিফ্রেশিং গোসল করা যায় তাহলে নিজেকে একদম ঝরঝরে লাগবে। গোসলের পানিতে দিয়ে দিন কয়েক টুকরো পরিষ্কার লেবুর খোসা। সঙ্গে মেশান আপনার পছন্দের কোনো বাথ সল্ট। আরও মেশান কয়েক ফোঁটা যেকোনো সাইট্রাস ফ্লেবারের এসেনশিয়াল অয়েল। এই পানিতে গোসল করলে ক্লান্তি তো কাটবেই, ঘুমও হবে ভালো।
সুগন্ধি যে শুধু বাইরে থেকে কিনে আনতে হবে এমন নয়। সুগন্ধি তৈরি করতে পারেন বাড়িতেও। প্রথমে লেবুর খোসাগুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর সঙ্গে অন্যান্য শুকনো ভেষজ যেমন রোজমেরি, থাইম, গোলাপের শুকনো পাঁপড়ি ইত্যাদি মিশিয়ে একটি থলেতে রেখে নিন। চাইলে এক-দুই ফোঁটা আপনার পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিতে পারেন। সারাদিন বাড়ি ভরে থাকবে সুগন্ধে।
লেবুর খোসা দিয়ে ডি আই ওয়াই অ্যারোমা ক্যান্ডেল তৈরি করতে পারেন। একটি লেবু অর্ধেক করে কেটে নিন এবং রস চিপে নিন। এবার লেবুর পাল্প বের করে তাতে গলানো মোম জমিয়ে নিন। আপনি চাইলে অন্যকোনো সাইট্রাস ফ্লেভারও মোমের সঙ্গে মেশাতে পারেন। বাড়িতে অতিথি এলে অথবা কোনো বিশেষ কারণ ছাড়াই এই অ্যারোমা ক্যান্ডেল জ্বালাতে পারেন।
বাসন-পত্রের গায়ে লেগে থাকা গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে লেবুর খোসা। লেবুর রস বের করে নেয়ার পর সেই খোসা থালা-বাসনে ঘষতে পারেন। তাতে বাসনে লেগে থাকা দুর্গন্ধ দূর হয়ে সুন্দর একটি গন্ধ আসবে। বিশেষ করে কাঁসার থালাবাসন পরিষ্কার করতে লেবুর খোসা বেশ কার্যকরী।