প্রেমে পড়ার কোনো বয়স নেই। কখন কে কোথায় প্রেমের ডোরে বাঁধা পড়বেন তা বলা দুষ্কর। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রেও মেয়েরা ছেলেদের কিছু নির্দিষ্ট স্বভাবের মানুষ খোঁজে, পৃথক বৈশিষ্ট্য খোঁজে।
যেসব ছেলে মেয়েদের একটু বেশি আদর যত্নে রাখে, প্যাম্পার করে এমন ছেলেদেরও কিন্তু মেয়েরা পছন্দ করে। যারা মেয়েটির কোনও ভালো কাজ মনে রেখেছেন এবং সেই কাজের সূত্র ধরে তার প্রশংসা করেন, এমন ছেলেরাও রয়েছেন মেয়েদের পছন্দের তালিকায়। প্রেমিক, বিয়ে, স্বামী, যৌনজীবন ইত্যাদি নিয়ে মেয়েদের অনেক স্বপ্ন থাকে। ছোট থেকেই মেয়েরা সেই স্বপ্ন দেখেন তাদের স্বপ্নের মানুষকে নিয়ে।
কেমন হবে তার যৌনজীবন, সঙ্গীর কাছ থেকে তিনি কী কী চাইতে পারেন, তার যাবতীয় ভালোবাসা, আবেগ যৌন আকাঙ্ক্ষা দিয়ে ছেলেটি কতটা পূরণ করতে পারবে এসব দেখে তবেই ছেলেদের প্রেমে পড়েন। আর কোনও ছেলে যদি একটু অতিরিক্তই যত্ন নেন মেয়েটির, তাহলেও প্রেম জমে একেবারে ক্ষীর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে মেয়েরা সুরক্ষাও খোঁজ দেন।
তবে এসব যাই হোক না কেন, যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণই অনেকের কাছে মুখ্য। আবার এমন কিছু ছেলে আছেন, যাদের কাছে তাদের আবেগ, অনুভূতি ও আত্মীয় সর্বাধিক গুরুত্ব পান। আর এই রকম ছেলেরাও কিন্তু মেয়েদের পছন্দের তালিকায় ভালো স্থানেই রয়েছে। কারণ সব মেয়েই চান তার মনের মানুষ তার পরিবারের সঙ্গেও মিলেমিশে থাকুক। আর যারা এই একসঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন, তাদের নিয়ে অনায়াসেই দিন কাটিয়ে দিতে পারেন মেয়েরা। এখনো এ রকম কিছু ছেলেও আছেন যাদের মধ্যে এই সব গুণ রয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই তিনি কারোর পূর্ব অভিজ্ঞতা শুনতে রাজি নন। সাধারণত যে কোনো বিচ্ছেদের পর মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সঙ্গী খোঁজেন।
একটু কাউকে পছন্দ হলেই তাকে একেবারে বিশেষ বন্ধু বানিয়ে বসেন। অনেক সম্পর্ক আবার বিয়ে পর্যন্তও গড়িয়ে যায়। আর এই রকম সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মেয়েরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। আর যে ছেলের মধ্যে এই তিন লক্ষণই থাকে তাকে মনের মানুষ হিসেবে গ্রহণ করতে মেয়েদের বেশি সময় লাগে না। তবে সব সম্পর্কেই যাওয়ার আগে মেয়েরা এখন দেখে নিতে চান তিনি কতটা ভালো থাকছেন কিংবা সঙ্গী তাকে কতটা ভালো রাখতে পারবেন। তবেই না প্রেমে পড়া।