স্থুলতা, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড এসব সমস্যার সঙ্গে লড়ার জন্য কেবল শরীরচর্চাই যথেষ্ট নয়। সঠিক খাবার খাওয়া সবার আগে জরুরি। নিয়ম মেনে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলেও তা মেনে চলা হয় না অনেকেরই। তবে একটু সচেতন হলেই ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী খাবারগুলো দূরে রাখা যায়। তার বদলে তালিকায় রাখতে পারেন স্বাস্থ্যকর সব খাবার। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক্ষেত্রে সকালের খাবার বেশি কার্যকরী। বিস্তারিত প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান টাইমস-
প্রোটিন-বিএমসি-তে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় প্রোটিনসমৃদ্ধ সকালের খাবারের গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে। জানা গেছে, প্রোটিনে পূর্ণ সকালের খাবার কিশোর-কিশোরীদের অতিরিক্ত ক্ষুধা পাওয়ার প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা তাদের ওজন বেড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এজাতীয় খাবার ব্রেন এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
ব্ল্যাক টি বা কফি-এই অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। দিনের শুরুতে এককাপ ব্ল্যাক টি বা কফি পান করলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশমের মতে, ক্যাফেইন মেটাবলিজম বাড়ায়, অক্সিডেশনও বৃদ্ধি করে। তাই সকালের খাবারে কিন্তু ক্যাফেইন রাখতেই হবে।
চিনিযুক্ত পানীয় বা প্যাকেটজাত নয়-চিনি আমাদের শরীরের জন্য এমনিতেই উপকারী নয়। এটি সকালের খাবারে একদমই রাখবেন না। দুধের তৈরি কোনো শেক হোক বা কোনো ফলের রস- তাতে চিনি মেশাবেন না। চিনি ছাড়া ফল বা ফলের রস শরীরের জন্য বেশি উপকার বয়ে আনে।
শস্যদানা বাদ দিন-অনেকেরই হয়তো জানা নেই যে, শস্যদানার মধ্যে অনেকটা চিনির মতোই কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই সকালের খাবারে শস্যদানা রাখলে ওজন কমার বদলে আরও বেড়ে যেতে পারে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গেছে, যেসব শিশুকে সকালে শস্য খেতে দেয়া হয়েছে, তাদের ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধির পেয়েছে।
অনেকেই ওজন কমানোর জন্য কোনো কোনো বেলার খাবার না খেয়ে থাকেন। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হওয়ার ভয় থাকে। অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে পরবর্তীতে ক্ষুধা মেটানোর জন্য বেশি খেয়ে ফেলার ভয় থাকে। তাই কোনোভাবেই সকালের খাবার বাদ দেবেন না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি বেশ জরুরি।