আবারও ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে ইউক্রেনের কিয়েভ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গুরুত্বপূর্ণ সব অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। খারকিভ, জাপোরিঝিয়া, ওডেসা এবং লভিভের জালানি সুবিধাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে ইউক্রেনজুড়ে এই ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে জ্বালানি লক্ষ্যবস্তুতে ইউক্রেনের হামলার জবাবে মস্কো এই হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ভিডিওতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে আগুন জ্বলতে এবং তা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। রয়টার্স ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থাসহ অন্যান্য প্রতিরক্ষা সহায়তা দরকার। চোখ বন্ধ করে রাখা এবং দীর্ঘ আলোচনার সময় এখন নয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানী এবং শক্তি সুবিধাগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। ড্রোন, আকাশ ও সমুদ্র থেকে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করে প্রতিশোধমূলক এই হামলা চালানো হচ্ছে। রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও জ্বালানি স্থাপনায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এটি ছিল ইউক্রেনের বিদ্যুত এবং বৃহত্তম তাপ সরবরাহকারী কেন্দ্র। ট্রিপিলিয়া কেন্দ্রটি আরো দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করছিল। একটি খারকিভ অঞ্চলে যা মার্চের শেষের দিকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং একটি ডোনেস্ক অঞ্চলে, যা ২০২২ সালে রাশিয়ার দখলে নিয়ে নেয়। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রেনার্গোর অধীনে ছিল এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। তারা এক বিবৃতিতে কেন্দ্রটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে।