বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে অপ্রয়োজনীয় একটা টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর তা কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটু টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। এটি আমরা জানি সবাই। অস্বীকার করার কোনো অর্থ হয় না। আমি মনে করি, সেই জিনিসটা কেটে গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের একটা নীতি আছে- সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় একটি টানাপোড়েন ছিল। সেটি ছিল এর ব্যত্যয়। সেটিকে আমার মনে হয়, কানেক্ট করতে পেরেছি।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোস। সেই সাক্ষাতে সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও ছিলেন। ফলে বৈঠকটি নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক মহলে।
বৈঠকে পিটার হাসের উপস্থিতি নিয়ে করা প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, তিনি (পিটার হাস) ওভাবে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। তিনি একটি প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলেন। প্রতিনিধি দলের নেতা ছিলেন না। তিনি চাকরি করেন। তার সঙ্গে কোনো কথাবার্তা হয়নি। জাস্ট হাত মেলানো…। অ্যাকসিলারেট এনার্জির প্রধান আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।
উপদেষ্টা বলেন, অ্যাকসিলারেট এনার্জির অঞ্চল প্রধানের সঙ্গে আমার কিছু কথা হয়েছে। তার চেয়ে বেশি হয়েছে জ্বালানি উপদেষ্টার। কারণ, তাদের এখানে বিনিয়োগের প্রশ্ন আছে, যাতে আমাদের গ্যাসের শর্টেজ মিট করা যায়; এ ধরনের বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। প্রতিনিধি দল একেবারে বিজনেস ডেলিগেশন ছিল, যার কারণে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো কথাবার্তা হয়নি।
প্রসঙ্গত, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বর্তমানে অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।