নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি
অধ্যক্ষ সিরাজুদ্দৌলার নির্দেশে নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, পিবিআই। ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানায় সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার। হত্যাকাণ্ডে দু’জন মেয়েসহ ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ থেকে নুসরাত জাহান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী নুর উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সকালে ধানমন্ডি পিবিআইয়ের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিআইজি বনজ কুমার জানান পুরো হত্যাকান্ডের পরিকল্পনায় ছিলো ১৩ জন।
পুলিশ জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী বোরকা পরিহিত চারজন ভবনের ছাদে হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়। এর মধ্যে কমপক্ষে একজন মেয়ে ছিল।
গত ৪ এপ্রিল গ্রেফতার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার মুক্তির দাবিতে নূর উদ্দিন, শামীমসহ অন্যরা মানববন্ধন করে। এরপর জেলখানায় সিরাজ উদ-দৌলার সঙ্গে দেখা করে নুসরাতকে মারার নির্দেশনা পেয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে গ্রেফতার হওয়া নূর উদ্দিন।
দীর্ঘদিন ধরে নুসরাতকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো মামলার অপর আসামী শামীম। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় নুসরাতের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো সে। মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহার ভুক্ত ৭ জনসহ মোট ১০জন আটক রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি