আমদানি বন্ধ ও সরবরাহ কমের অযুহাতে হিলিতে হঠাৎ করে বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম।
চারদিনের ব্যবধানে হিলির বাজারে আদার দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, রসুন ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা ও পেঁয়াজ ৬ টাকা বেড়ে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি বন্ধের কারণে বাজারে সরবরাহ কমায় পেঁয়াজের দাম বেড়াছে। এছাড়া আড়তগুলোতে আদা ও রসুনের সরবরাহ কমে যাওয়ায় রসুন ও আদার দামও বেড়েছে অনেকটাই। এদিকে হঠাৎ করে এসব নিত্যপণ্য জিনিসের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষরা।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল আমদানিকারকদের ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পারমিট শেষ হয়ে যায়। রমজানকে ঘিরে সরকার আবার পেঁয়াজ আমদানির পারমিট ৫ মে পর্যন্ত বাড়ায়। ঈদের ছুটির কারণে এই বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারেননি আমদানিকারকরা। যার কারণে বাড়ছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। সেইসঙ্গে দেশি পেঁয়াজেরও দাম।
হিলি বাজারে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, গ্রামে তার দোকান আছে। ঈদের আগের দিন যে পেঁয়াজ ১৫ টাকা কেজি নিয়েছিলেন, আজ তা ২০ টাকা পাইকারি নিতে হয়েছে। হঠাৎ দাম বাড়লে ক্রেতাদের সাথে কথা কাটাকাটি করতে হবে। আবার আদা-রসুনেরও দাম বেড়ে গেছে।
হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। ঈদের আগের পেঁয়াজ কিছুটা আছে, তা ২০ টাকা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। রমজান শেষ, বিক্রিও বাড়ছে। ভারতীয় পেঁয়াজের সঙ্গে দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেছে। তবে যদি আবার পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয় তাহলে দামটা আগের মতো হবে।