গত পহেলা জুন (বৃস্পতিবার) স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২ তম বাজেট ঘোষণা করা হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল বড় এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, নিবন্ধিত করদাতাদের সরকারি ৩৮টি সেবা পেতে ন্যূনতম আয়কর হলেও দিতে হবে। আয় করযোগ্য না হলেও, অর্থাৎ বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকার কম আয় হলেও আয়, ব্যয় এবং সম্পদের বিবরণী দাখিল করার সময় ন্যূনতম আয়কর ২ হাজার টাকা দিতে হবে তাদের।
এর অর্থ হলো পেনশনভোগী এবং গৃহিনীসহ জনসংখ্যার একটি বড় অংশের আয় বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকার কম হলেও, ন্যূনতম করের আওতায় আসছেন তারা। আর আপনার এই করের টাকা যেসব খাতে ব্যয় হবে চলুন তা নেই।
ধরুন, আপনি ১০০ টাকা কর দিয়েছেন। এখন দেখা যাক, এবারের বাজেটে এই টাকাটা কোথায় ব্যয় হবে, কারা বেশি পাবেন। যেমন আপনি ১০০ টাকা কর দিয়েছেন। আপনার এই করের টাকা কোথায় যাচ্ছে। আপনার দেওয়া ১০০ টাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২০ টাকা ৫০ পয়সা ব্যয় হবে সরকারের ভর্তুকি ও প্রণোদনায়।
যেসব খাতে ব্যয় হবে আপনার করের টাকা:-
বেতন-ভাতা বাবদ ১৬ টাকা ৬০ পয়সা। সুদ ১৯ টাকা ৫ পয়সা। সাহায্য মঞ্জুরি ১৪ টাকা ৯ পয়সা। পণ্য ও সেবায় ৯ টাক ১০ পয়সা। সম্পদ সংগ্রহে ৪ টাকা ৬০ পয়সা। পেনশনে ৬ টাকা ৮০ পয়সা। শেয়ার ও ইকুইটিতে ৩ টাকা ৫০ পয়সা। অপ্রত্যাশিত ব্যয় ও অন্যান্য থোক বাবদ ২ টাকা ৭০ পয়সা। বিবিধ খাতে ব্যয় হবে এক টাকা ৮০ পয়সা।