জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলার দীর্ঘ অভিজ্ঞতাই কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন,জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ।
জাতিসংঘে চলমান উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম (এইচএলপিএফ)-এর এক ভার্চুয়াল সাইড ইভেন্টে তিনি একথা বলেন ।
তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও অবিরত প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হওয়ার ফলে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি গ্রহণ, এতে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্তকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরে যে সক্ষমতা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে তা আজ কোভিড-১৯ এর মতো মহামারি মোকাবিলায় কাজে লাগছে।”
আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কোভিড পরবর্তী বিশ্বে অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানো : নবতর, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থানীয় জনগণ সম্পৃক্ত জলবায়ু নীতি ও কর্ম-পরিকল্পনা”শীর্ষক এই ভার্চুয়াল সাইড ইভেন্টটির সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস্, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, ভূটান এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজ্ (আইএফআরসি)।
নেদারল্যান্ডস-এর ভাইস মিনিস্টার রোয়াল্ড ল্যাপ্পিরি, আইএফআরসি’র জাতিসংঘে স্থায়ী পর্যবেক্ষক ও প্রতিনিধিদলের প্রধান রিচার্ড ব্লিউইট; ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ডেভেলাপমেন্ট (আইসিসিসিএডি) এর পরিচালক এবং ক্লাইমেট ভারনারেবল ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. সালিমুল হকসহ বিভিন্ন স্থায়ী মিশন, জাতিসংঘ সংস্থা ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিগণ ইভেন্টটিতে অংশ নেন।
কোভিড-১৯ এবং জলবায়ু পরিবর্তন উভয়কেই জীবন, জীবিকা ও উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে যে সকল দেশে আগে থেকেই নাজুক পরিস্থিতি বিদ্যমান সে সকল দেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি হিসাবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এছাড়াও স্বাস্থ্য ও জলবায়ুর জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় গৃহীত বৈশ্বিক প্রস্তুতি ও পদক্ষেপসমূহ মারাত্মকভাবে অপ্রতুল মর্মে উল্লেখ করেন তিনি। (বাসস)