সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক নারীকে গণধর্ষণ মামলার আট আসামির ডিএনএর সঙ্গে ঘটনাস্থলের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া গেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ডিএনএ রিপোর্ট পেয়েছি। প্রধান আসামি সাইফুরসহ অন্যদের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।’
দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা ওই ঘটনার ডিএনএ প্রতিবেদন না পাওয়ায় অভিযোগপত্র দেয়া যায়নি বলে দাবি করে আসছিল পুলিশ।
ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ায় খুব দ্রুতই মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আশরাফ উল্লাহ।
ধর্ষণের ঘটনায় হাইকোর্ট, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষের চার তদন্ত কমিটিই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ।
ওই রাতেই ওই নারীর স্বামী ছয় জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামি করে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন।
ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম তারেক, মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর সবাইকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে পায় পুলিশ। রিমান্ড শেষে সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ডেস্ক নিউজ/বিজয় টিভি