1. junayed@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  2. dcm01@bijoy.tv : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  3. rafi@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  4. rubel@bijoy.tv : support_admin :
খাদ্যাভ্যাস প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে কিনা, যা বলছেন বিশেষজ্ঞ - বিজয় টিভি
ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন

খাদ্যাভ্যাস প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে কিনা, যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

বিজয় টিভি নিউজ
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে
খাদ্যাভ্যাস প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে কিনা, যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

খাদ্যাভ্যাস প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে কিনা, যা বলছেন বিশেষজ্ঞ, আমাদের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত শরীরের বিভিন্ন বিষয়। এমনকি বলা হয় প্রজনন ক্ষমতার সঙ্গেও খাদ্যাভ্যাস জড়িত। বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসে এই সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর। বিশেষ কিছু খাবার খেলে যে পুরুষ এবং নারীর প্রজনন ক্ষমতা আসলেই বাড়ে কিনা, গর্ভস্থ ভ্রূণের বিকাশে সাহায্য করে, এর প্রমাণ কতটা আছে এই বিষয় গুলো উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে।

কিছু কিছু পুষ্টিকর খাবার আসলেই গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে সাহায্য করে, ভ্রূণের বিকাশ নিশ্চিত করে- যেমন ফলিক এসিড। গর্ভধারণের আগে এবং গর্ভধারণের পরে ফলিক এসিড নিয়মিত গ্রহণ করলে এটি যেমন একদিকে ‘অ্যানেনসেফালি (শিশুর মস্তিষ্কে একধরণের ত্রুটি) নিরোধ করে, অন্যদিকে ‘স্পিনা বিফিডা’ বলে শিশুর মেরুদণ্ডের একটি রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক হয়।

যেহেতু এসব রোগ গর্ভধারণের একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় হয়, যখন একজন নারী হয়তো জানেনই না যে তিনি গর্ভবতী, সেজন্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বলছে, প্রজনন সক্ষম বয়সের সব নারীর উচিৎ প্রতিদিন চারশো মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড গ্রহণ করা।

খাদ্যাভ্যাস প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে কিনা, যা বলছেন বিশেষজ্ঞ, প্রতিদিন আমরা যা খাই, যেমন ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, সেগুলোতে ফলিক এসিড ভরে দিতে পারলে আরও শক্তিশালী সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। কারণ বেশিরভাগ গর্ভধারণের ঘটনা ঘটে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই। ধারণা করা হয়, ২০১৯ সালে সম্ভাব্য স্পিনা বিফিডা বা অ্যানেনসেফালির ২২ শতাংশই রোধ করা গেছে প্রতিদিনের খাবারে ফলিক এসিড মেশানোর মাধ্যমে।

ফলিক এসিডের আরেকটি বাড়তি সুবিধা আছে: নারীরা যখন গর্ভধারণের চেষ্টায় সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ফলিক এসিড নিতে থাকেন, এটি হয়তো তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায়। তবে এটি নিশ্চিত করার জন্য আরও পরীক্ষার দরকার আছে।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে অন্যান্য খাবার এবং সাপ্লিমেন্ট কতটা কার্যকরী? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য বন্ধ্যত্বের প্রধান কারণগুলো সম্পর্কে আগে জানা দরকার। যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ শতাংশ পুরুষ কোন ধরণের জন্মনিরোধক ছাড়া যৌনমিলন করেও গর্ভসঞ্চার করতে পারেনি। এর অনেক সম্ভাব্য কারণ আছে। নারীর দিকের কথা বললে, তাদের ডিম্বাশয় থেকে হয়তো সুস্থ-সবল ডিম্বাণু তৈরি হয়নি, বা হয়তো এই ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে গর্ভাশয়ে যেতে পারেনি- কারণ এটি হয়তো ফেলোপিয়ান টিউবে আটকে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন:  হঠাৎ করে ফুড পয়জনিং হলে যা করবেন

আর ডিম্বাণু যদি সফলভাবে এই যাত্রা শেষও করতে পারে, এটি হয়তো গর্ভাশয়ের নালীতে নিজেকে আটকাতে পারেনি, বা আটকানোর পরও বাঁচেনি। আবার পুরুষের দিকের কথা ভাবলে, শুক্রাণু কতটা সুস্থ সবল সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই শুক্রাণু কতটা দক্ষতার সঙ্গে চলতে পারছে, এর আকার এবং আকৃতি, এবং কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ বীর্যে কী পরিমাণ শুক্রাণু আছে ইত্যাদি।

শুক্রাণুর মান অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, এর মধ্যে দূষণের মতো পরিবেশগত সমস্যাও আছে। আবার অনেক সময় অনেক শারীরিক পরীক্ষার পরও বন্ধ্যত্বের কারণ হয়তো স্পষ্টভাবে জানা যায় না। ১৫ শতাংশ বন্ধ্যত্বের কারণ কোনভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় না।

কোন একটা নির্দিষ্ট খাবার খেয়ে বা সাপ্লিমেন্ট নিয়ে এরকম সম্ভাব্য সমস্যা মোকাবেলা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভধারণের চেষ্টা শুরু হওয়ার পর হতে পুরো প্রক্রিয়ার সময় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার বিরাট উপকারিতা আছে।পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যে খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অপুষ্টির পরিণাম গর্ভস্থ শিশুর জন্য খুবই মারাত্মক হতে পারে।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে সবচেয়ে সুপরিচিত একটি গবেষণা হয়েছিল ১৯৪৪ সালে নেদারল্যান্ডসে। ‘ডাচ হাঙ্গার উইন্টার’ নামে পরিচিত এক খাদ্য সংকটের সময় সেখানে গর্ভধারণের পর যেসব শিশু জন্ম নেয় তাদের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে নাৎসিরা যখন নেদারল্যান্ডসে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তখন সেখানে আট মাস ধরে এই খাদ্য সংকট চলে। তখন মা হতে চলেছেন এমন নারীরা দিনে মাত্র চারশো ক্যালরির খাবার খেতে পেতেন। স্বাস্থ্যসম্মত গর্ভধারণের জন্য যত ক্যালরি প্রয়োজন, তার চেয়ে এটি অনেক কম।

এই সময়ে গর্ভে আসা যেসব শিশু পরে জন্ম নেয়, তাদের নানা ধরণের বিরূপ স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এই সময়ের আগে পরে গর্ভধারণ করে জন্ম নেয়া শিশুদের তুলনায় এসব শিশু ছিল খর্বাকৃতির এবং শীর্ণকায়, তাদের মাথার আকার ছিল ছোট। প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় তাদের মধ্যে মোটা হওয়ার ধাত অনেক বেশি ছিল, এবং ডায়াবেটিস ও স্কিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগে তারা অনেক বেশি ভুগছিল। এদের মৃত্যুও হচ্ছিল অনেক কম বয়সে।

যাদের যথেষ্ট পরিমাণ খাবার খাওয়ার সুযোগ আছে, তাদের বেলায় কিন্তু সব ধরণের খাবার সঠিক মাত্রায় খাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরকম উপকারী খাবারের কথা যখন বলা হয়, তখন কেবল নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর দিকেই মনোযোগ দেয়া হয়। কিন্তু পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার ক্ষেত্রেও যে খাবার বেশ গুরুত্বপূর্ণ, সেটি নিয়ে সচেতনতা ক্রমশ বাড়ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
ডিমের পর এবার মুরগির বাজারে অস্বস্তি

ডিমের পর এবার মুরগির বাজারে অস্বস্তি

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
কমনওয়েলথ সম্মেলনে যাচ্ছেন না ড. ইউনূস

কমনওয়েলথ সম্মেলনে যাচ্ছেন না ড. ইউনূস

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
সর্বকালের সব রেকর্ড ভাঙল স্বর্ণের দাম

সর্বকালের সব রেকর্ড ভাঙল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
আসছে টানা ৩ দিনের ছুটি

আসছে টানা ৩ দিনের ছুটি

মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪
দুই ঈদ ও দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ল

দুই ঈদ ও দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ল

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
আবারও দাম বাড়লো এলপি গ্যাসের

আবারও দাম বাড়লো এলপি গ্যাসের

বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪
নতুন পরিচয়ে ঢাকায় পিটার হাস

নতুন পরিচয়ে ঢাকায় পিটার হাস

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

এইচএসসির ফল আজ, জানা যাবে যেভাবে

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

সাম্প্রতিক পোস্ট

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বসত্ব সংরক্ষিত ২০২৪ বিজয় টিভি || All Rights Reserved.