চট্টগ্রামে একটি কনটেইনারবাহী লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত প্রাইভেটকারকে চাপা দিয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চাপা পড়া প্রাইভেটকার থেকে দুই শিশুসহ পাঁচ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজন।
উদ্ধার হওয়া পাঁচ জন হলেন– আবু বক্কর (৪২), তার দুই মেয়ে আদিদা আকতার (৬) ও আদিলা আকতার (৩), শ্বশুর মুসা আহমেদ (৬০) এবং গাড়িচালক মো. বেলাল (৩২)। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে একটি কনটেইনারবাহী লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত প্রাইভেটকারটিকে চাপা দেয়। এ সময় কারে থাকা যাত্রীরা চিৎকার করতে থাকেন। পরে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে কারের ওপর থেকে লরিটি ক্রেনের সাহায্যে সরিয়ে নেন। এর পর একে একে পাঁচ জনকে উদ্ধার করা হয়।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আমরা দ্রুত কনটেইনারবাহী লরিটি প্রাইভেটকারের ওপর থেকে সরিয়ে নিই। কার থেকে এক শিশু, চালকসহ পাঁচ জনকে আমরা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত বড় দুর্ঘটনার পরও সবাইকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করাটা ছিল অবিশ্বাস্য। কেননা প্রাইভেটকারের ওপর চাপা দেওয়া লরিটির ওজন ছিল ৩৫ টনের বেশি।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনারবাহী লরি এবং প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।‘
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আহতদের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে। এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।’