গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধি স্থিতিশীল থাকলেও পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদের জেলার শিবচর অংশে ভাঙ্গন আরও বেড়েছে।
পদ্মার ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে জেলার শিবচর উপজেলার চরজানাজাতের পশ্চিম ফকিরকান্দি রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা, একটি মোবাইল টাওয়ার ও সংলগ্ন একটি ব্রীজ। পদ্মাও আড়িয়াল খার ভাঙ্গন আক্রান্ত হয়েছে অর্ধশত ঘরবাড়ি। ভাঙ্গন আক্রান্তরা কোনমতে মূল্যবান জিনিসপত্র ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
এ নিয়ে পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে এ পর্যন্ত চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৮ শতাধিক ঘরবাড়ি ,ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, ৩ টি ব্রীজ কালভার্ট, শতশত বিঘা ফসলী জমি, পাকা সড়ক বিলীন হলো। ভাঙ্গন প্রতিরোধে আড়িয়াল খা নদে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেললেও তা অপ্রতুল।
জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। পদ্মার ভাঙ্গন আক্রান্ত হয়ে বিলীন হয়েছে চরজানাজাতের পশ্চিম ফকিরকান্দি রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
এ নিয়ে গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে চরজানাজাতের ইলিয়াস আহমেদ চৌধরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মালেক তালুকদার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মজিদ সরকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ও বন্দরখোলার ৭২ নং নারিকেলবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হলো।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, গত কয়েকদিনের নদী ভাঙ্গনে ১টি হাইস্কুল, ১টি মাদ্রাসা, ৩টি প্রাইমারী স্কুল নদীতে বিলীন হয়েছে। আরো বেশ কয়েকটি স্কুল হুমকিতে রয়েছে। ভাঙ্গন আক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানান্তর করে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আহমেদ বলেন, বর্ষার শুরু থেকেই পদ্মায় ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়। আর মৌসুমের শেষ দিকে এসে আড়িয়াল খা নদেও ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এ দুটি নদীর ভাঙ্গনে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন, ব্রীজ কালভার্ট, কমিউনিটি ক্লিনিক, হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে আড়িয়াল খা নদে কিছু বালুর বস্তা ফেলা হলেও আরো বড় ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। ভাঙ্গন কবলিতদের মাঝে আমাদের সাহায্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি