২০১৮ বিশ্বকাপ ভালো কাটেনি মেসি ও রোনালদোর। একই দিনে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়েছিলেন তাদের দল। বিশ্বকাপ শেষ করে মেসি কোচকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই বছরটা অন্তত জাতীয় দলের জন্য যেন তাকে বিবেচনা না করা হয়। একই পথে হাঁটছেন পর্তুগালের অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
বিশ্বকাপের পর থেকেই পর্তুগাল খেলছে নিজেদের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়াই। রোনালদো নিজেই নাকি বিশ্বকাপের পর কোচ ফার্নান্দো সার্ভিসকে অনুরোধ করেছিলেন ২০১৯ পর্যন্ত তাঁকে যেন জাতীয় দলে বিবেচনা না করা হয়। কোচও নাকি সে কারণেই জুভেন্টাস তারকাকে ডাকছেন না। সামনে ইতালি ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে উয়েফা নেশনস লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দুটিতেও থাকছেন না তিনি।
রোনালদো না থাকলেও, এই স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা আন্দ্রে গোমেজ, ইন্টার মিলানের হোয়াও মারিও, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের রাফায়েল গেরেইরো। রোনালদোর মতো তাদেরও বিশ্বকাপের পরের ম্যাচগুলোতে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, রোনালদোর আগেই একই কাজ করে আলোচনায় এসেছিলেন তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার বেদনায় কাতর মেসি দলের কোচ লিওনেল স্কালোনিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এখনই জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাচ্ছেন না তিনি। অন্তত ২০১৯ সালের আগে যেন তাঁকে জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করা না হয়। যে কারণে বিশ্বকাপের পর ব্রাজিল, ইরাক, গুয়াতেমালা, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচগুলোতে আর্জেন্টিনার হয়ে মেসিকে মাঠে নামতে দেখা যায়নি। মেসির দেখানো সেই একই পথে হাঁটছেন রোনালদো।
উয়েফা নেশনস লিগের প্রথম দুই ম্যাচে জিতে পূর্ণ ছয় পয়েন্ট পেয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে পর্তুগাল। পরের দুই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেলেই সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি