চাঁপাইনবাবগঞ্জে জলমহাল ইজারা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মনীতি না মেনে মৎস্যজীবীদের বদলে দেয়া হয়েছে অন্যদের। এতে ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবীরা। তাদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে এমন অন্যায় করেছে উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রশাসন।
৮ একরের বিশাল এই দীঘিটির নাম মোহাম্মদপুর চৌকি। ১৪২৭ থেকে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের জন্য দীঘিটি ইজারা পেতে সিডিউল ড্রপ করেন মোহাম্মদপুর চৌকি মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। কিন্তু ১০ লাখ টাকা ও আটআনা ভাগ না দেয়ায়; সমবায় অধিদপ্তরে মৎসজীবীদের সমিতি বাতিলের অভিযোগসহ মামলা দায়ের করে নিজেই মাছ চাষ করে পকেট ভারী করছেন চেয়ারম্যান ও তার লোকজন বলে অভিযোগ উঠেছে।
একই চিত্র উপজেলার, মুরাদপুর, বেনীপুর, পীরপুর সাহানাপাড়া, বিল বাউসা, আনকা দীঘিসহ শত শত পুকুরেই। চেয়ারম্যান যেখানেই আর্থিক সুবিধা ও পুকুরের ভাগ পেয়েছেন সেখানেই পছন্দের অমৎস্যজীবী সমিতিকে বন্দোবস্ত দিয়েছেন। আর এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত মৎসজীবীরা।
মৎসজীবীদের অভিযোগ, নীতিমালা লঙ্ঘন করে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এসব অনিয়ম-দুনীর্তি ও লুটপাটের রাজত্ব চালিয়ে আসছেন।
চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দূর্নীতি স্বীকার করেছেন জলমহল নীতিমালা কমিটির সদস্য ও বন্দোবস্ত পাওয়া সমিতির নেতারাও। তবে, দায় এড়িয়ে গেলেন জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের এ কর্মকতা।
অভিযোগের তীর যার দিকে, সেই জনপ্রতিনিধি এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে, এ জনপ্রতিনিধির পক্ষেই সাফাই গাইলেন উপজেলা প্রশাসনের এ কর্তাব্যক্তি।
মৎসজীবীদের অভিযোগ, প্রথম দফায় ১,১৭৯টি পুকুর টেন্ডার দেয় উপজেলা প্রশাসন। এতে ২৭টি পুকুরের বিপরীতে সিডিউল পড়ে ৪২টি। দ্বিতীয় দফায়, ৩৫৪টি পুকুর বাদ দিয়ে ৭৯৮টি পুকুর টেন্ডার দেয় প্রশাসন। আর এই ৩৫৪টি পুকুর নিজের দখলে নিয়ে লোকজন দিয়ে মাছ চাষ করে খাচ্ছেন চেয়ারম্যান নিজেই। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।