মুন্সীগঞ্জে সদর উপজেলায় বিচার সালিশে দুইগ্রুপের সংঘর্ষে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন উত্তর ইসলামপুর এলাকার মো:কাশেম পাঠানের ছেলে মো.ইমন পাঠান(২২) ও একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো: সাকিব হোসেন(১৯)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে মো:আওলাদ হোসেন মিন্টু(৪৭)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, প্রথমে ইভটিজিং এর একটি ঘটনা নিয়ে রাত ১০ টার দিকে বিচার সালিশ শুরু হয়।
তবে তা মিথ্যা প্রমাণিত হলে স্থানীয় যুবক মো:সৌরভ ও ইমনের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে সৌরভ গ্রুপ ও ইমন গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরবর্তীতে সেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ছড়িয়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই মো: ইমন পাঠান নিহত হয়। এবং আহত অবস্থায় সাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যায় সে।
এদিকে ওই ঘটনায় বিচারকসহ গুরুতর আহত হয় অন্তত ৫ জন। যাদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে বিভাগের চিকিৎসক ড.ফেরদৌস জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে এক যুবক মৃত ছিলো। অপর কয়েকজন গুরুতর আহত থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কি নিয়ে এই সংঘষের্র সৃষ্টি হয়েছে তা এখনো পরিস্কার হওয়া যায়নি। একজন নিহত হয়েছেন। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরোও একজন মারা গেছে বলে খবর শুনেছি, তবে তা নিশ্চিত নই। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজন আটক করা হয়েছে। তদন্ত সার্থে তাদের নাম এখন বলা যাবে না।