দিনাজপুরে মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা জানতে পেরে এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষককে গণপিটুনি দেয়। শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর শহরের উপকণ্ঠে ঘাসিপাড়া তা-মীরুল উম্মাহ মাদ্রাসায়। পুলিশ বলছে, তদন্ত সাপেক্ষে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুর দেড়টায় শহরের ঘাসিপাড়া তা-মীরুল উম্মাহ মাদ্রাসা চত্বরে সরেজমিনে একজন শিক্ষককে গণধোলাই দিতে দেখা যায়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করেছেন তিনি। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে গণপিটুনিতে আহত শিক্ষককেও উদ্ধার করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি উপশহরে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, সোমবার জোহরের নামাজের পরই রবিউল মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে জোরপূর্বক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে। শিশুটির চিৎকারে রক্তাক্ত অবস্থায় তার শয়নকক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে গণধোলাই দেয়।
এলাকাবাসীর চাপের মুখে বলাৎকারের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম। মাদ্রাসার পরিচালক বলেন, ঘটনার পরই ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে আহতাবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন।