বৃষ্টি না হওয়ায় ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোণার বন্যা কবলিত এলাকায় পানি কিছুটা কমেছে। তবে দুর্ভোগ কাটছে না ওই এলাকার মানুষের। এতে অনাহারে অর্ধাহারে দিন পার করছেন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষেরা।
শেরপুরে প্লাবন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত এলাকার পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি। এছাড়া ত্রাণ নিয়ে রয়েছে হাহাকার। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে পানির স্রোতে নিখোঁজ হওয়া চান্দের নগর এলাকার সমিরুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে ঢলের পানিতে শেরপুরে দশ জনের মৃত্যু হলো। জেলার পাঁচটি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে ২৫ ইউনিয়নে দেড় লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বেসরকারি সংস্থাগুলো।
পাচঁ দিন পর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কমতে শুরু করেছে পানি। তবে, নতুন করে পানি বেড়েছে ফুলপুর উপজেলার কিছু এলাকায়। আছে খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট। শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করছেন অনেকে। গোখাদ্য সংকটে গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বানভাসিরা। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছে সরকারি দফতরগুলো।
এদিকে, নেত্রকোণায়ও কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। কংস, সোমেশ্বরী, ধনুসহ সবকটি নদ-নদীর পানি নামছে। কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানির বিপৎসীমার ওপরে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ২৭টি ইউনিয়নে ১৩১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ। ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে ৪৩টি পরিবার।
নেত্রকোণায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত হইয়েছে। পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে ২০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। ২১৫টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। প্রায় ৩১০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে রয়েছে।