তুর্কির শুটার ইউসুফ দিকেচ চলতি অলিম্পিকে আলোড়ন তৈরি করেছেন তার নৈমিত্তিক মনোভাব ও তার আউটলুকের জন্য। সাধারণত, শুটিং ইভেন্টে অ্যাথলেটরা যেমনটা থাকেন তাদের থেকে পুরোটাই আলাদা ছিলেন তুর্কির এই ৫১ বছর বয়সি শুটার।
গত ৩০ জুলাই প্যারিস অলিম্পিকের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে সেভাল লাদিয়া তারহানের সঙ্গে মিশ্র ইভেন্টে রুপা জিতেছেন ইউসুফ দিকেচ। ফাইনালে সার্বিয়ার পুরুষ শুটার দামির মিকেচের কাছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হেরে যান দিকেচ। তবুও রুপা জিতেন তিনি। শুটিংয়ে অলিম্পিকে তুরস্কের ইতিহাসেই এটি প্রথম পদক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিকেচের আউটলুক দেখে সবাই মুগ্ধ ও তার পাশাপাশি অবাকও। ফাইনালে সার্বিয়ান শুটার দামির মিকেচ বিশেষ ধরনের লেন্স ব্যবহার করেছেন। যা শুটাররা নিয়মিত ব্যবহার করে থাকে। তার পাশাপাশি কানে শব্দনিরোধক হেডফোনও পড়ে আছেন তিনি। সেখানে দিকেচের চোখে ছিল সাধারণ একটি চশমা। যা তিনি নিয়মিত পড়েন। আর কানে ছিল ছোট এক জোড়া ‘বাড’। তার বাঁহাত ছিল পকেটের ভেতরে। আর ডানহাত দিয়ে পিস্তল তাক করে রেখেছেন নিশানার দিকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তার প্রশংসা করেছেন। আবার কেউ কেউ তুরস্কের অলিম্পিক বোর্ডের সমালোচনাও করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একজন লিখেছেন, ‘তুরস্ক কি কোনো “হিটম্যান”কেই পাঠিয়ে দিয়েছে?’
তবে যে জাই বলুক দেশের জন্য শুটিংয়ে প্রথম পদক জিতেছেন দিকেচ। প্রায় দুই যুগ ধরে শুটিংয়ে থাকা দিকেচের এটি পঞ্চম অলিম্পিক। এর আগে ২০০৮, ২০১২, ২০১৬ ও ২০২০ সালে অংশ নিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালে এয়ার পিস্তলসহ সাতবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নও দিকেচ।
অলিম্পিকে পদক পাওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে ইউসুফ লিখেছেন, ‘আমি খুবই খুশি যে আমরা নিজেদের ইতিহাসে প্রথম অলিম্পিক পদক জিতেছি। সাড়ে আট কোটি মানুষ যারা আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন…এ পদক তুরস্কের প্রজাতন্ত্রের জন্য!’