যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা আজ ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মানব জাতির জন্য এটি একটি বিষণ্ন মাইলফলক এবং বিশ্বে কোভিড-১৯ ভাইরাসে একক কোন দেশের মোট মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির বুধবারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়। খবর এএফপি’র।
বাল্টিমোর ভিত্তিক ওই ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় তিন মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে প্রথম মৃত্যু ঘটে। হিসাব অনুযায়ী, তার পর থেকে দেশটিতে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসে মৃত ও আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি করোনাভাইরাসে নতুন করে আরো ১ হাজার ৪০১ জন প্রাণ হারিয়েছে। পরপর তিন দিন দেশটিতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৭শ’র নিচে নেমে আসার পর আবারো এ সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেল। এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ১ লাখ ৩৯৬ জনে দাঁড়ালো।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মোট মৃত্যুর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ঘটতে দেখা গেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোভিড-১৯ ভাইরাসে প্রাণ হারানোদের সম্মানে সপ্তাহান্তে সেখানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনাভাইরাসে মৃত্যু ঘটে। তবে, এখন কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগেই কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে আরো অনেকে মারা যেয়ে থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
এক মাসের কিছু বেশি সময় আগে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃত্যু হার ব্রিটেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনসহ ইউরোপের অনেক দেশের তুলনায় কম। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে ব্যাপক মৃত্যু অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও দেশটির বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্য এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আরোপ করা কঠোর লকডাউন এখন তুলে নেয়া শুরু করেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লকডাউনের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ঘরে থাকার এ পদক্ষেপ শিথিল করার ঘোষণা দেন। লকডাউনের ফলে আমেরিকায় লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি