গত বিশ বছর ধরে ওয়েম্বলিতে হারেনি ইংল্যান্ড। এদিকে, ২০০৯ সালের পর থেকে ব্রাজিল কখনো ইংল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। তাই এ জয়টাকে ব্রাজিলের জন্য অনেকটা স্বপ্নই বলা চলে। এর সাথে আছে ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্রাজিলের সাম্প্রতিক দূর্বলতার গল্প, কোচ হিসেবে দরিভাল জুনিয়রের প্রথম ম্যাচ এবং বিষ্ময় বালক এনদ্রিকের প্রথম গোল! সব মিলিয়ে শনিবার দিবাগত রাতটি ছিলো সেলেসাও ভক্তদের কাছে একটু আলাদা।
বিষ্ময় বালক এনদ্রিক চলতি মৌসুম শেষ করেই যোগ দেবেন রিয়াল মাদ্রিদে। আরও দুই বছর আগেই তাকে কিনে রেখেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। রিয়াল সভাপতি ফেরেন্তিনো পেরেজ কেনো এতো আগেই এনদ্রিককে কিনে রেখেছিলেন তার কিছুটা কারণ জানা গেলো গতকাল। কারণ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের ১-০ গোলের জয়টা যে এসেছে তারই পা থেকে।
দুই দলেই ছিল চোটের সমস্যা। চোটের কারণে ব্রাজিল শিবিরে নেইমার, অ্যালিসন বেকার এবং গ্যাব্রিয়েল জেসুসসহ বেশ কিছু তারকা অনুপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, ইংলিশরা চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক হ্যারি কেইন এবং ফরোয়ার্ড বুকায়ো সাকাকে পায়নি। সে হিসেবে এদিন ব্রাজিলই উপহার দিয়েছে আক্রমণাত্মক ফুটবল।
ব্রাজিল অবশ্য জিততে পারতো আরও বড় ব্যবধানে। ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, রাফিনিয়াদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ পুরোটাই তারকায় ঠাসা। লক্ষ্যে শট নেয়া, গোলের বড় সুযোগ সৃষ্টি করায় তাই ব্রাজিলই দাপট দেখিয়েছে। আর ইংলিশরা করেছেন সুযোগ নষ্ট। ফলে ম্যাচের ৮০ মিনিটে ব্রাজিলের বিস্ময় বালক এনদ্রিক আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে ব্রাজিলকে এনে দেন কাঙ্খিত সেই জয়।