আর্জেন্টিনার কোপা জয়ের পর নতুন এক বিতর্কে লিওনেল মেসির দল। ফ্রান্সকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবাদী গান গেয়ে ফিফার তদন্তের মুখে তারা। একই ঘটনায় আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসিকে ক্ষমা চাইতে বলায় চাকরি হারিয়েছেন দেশটির এক ক্রীড়া কর্মকর্তা। তিনি আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টস জুলিও গারো।
ঘটনাটি মূলত আর্জেন্টিনার কোপা জয়ের পর। টিম বাসে উদযাপনের সময় গান গাইছিলেন তারা। যার ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন দলটির মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেস। গানটি বর্ণবাদী হওয়ায় আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন। কারণ গানের কথাগুলো ছিল এমন, ‘তারা খেলে ফ্রান্সের হয়ে, কিন্তু তাদের বাবা-মা অ্যাঙ্গোলার। কারও মা ক্যামেরুনিয়ান, কারও বাবা নাইজেরিয়ান। অথচ পাসপোর্ট তাদের ফরাসি।’
তারা এ সময় গানে অবমাননাকর ভাষায় ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার মডেল ইনেস রাওয়ের সম্পর্কের কথাও তুলে আনে। অবশ্য এটা পরিষ্কার নয়, লিওনেল মেসি এই বিতর্কিত কাণ্ডে সঙ্গী ছিলেন কিনা। চাকরিচ্যুত গারো ওই পদে গত মার্চেই নিয়োগ পেয়েছিলেন। তিনি ওই ঘটনায় অধিনায়ক মেসি ও আর্জেন্টিনা ফুটবল প্রধান তাপিয়াকে ক্ষমা চাইতে বলাতেই বিপদে পড়েছেন। রেডিওতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ‘এই ঘটনায় জাতীয় দলের অধিনায়ককে অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত। একই কাজ করা উচিত আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্টের। আমার মনে হয় এটাই সঠিক। কারণ এই ঘটনা আমাদের গৌরবান্বিত দেশকে অত্যন্ত বাজে পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে।’
এই বিবৃতি সম্প্রচার হওয়ার পরেই আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেইর অফিস প্ল্যাটফর্ম এক্সে গারোকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানায়, ‘কোনও সরকার কোনও নাগরিক কিংবা দুইবারের কোপা চ্যাম্পিয়ন, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে এটা বলতে পারে না তাদের কী বলা উচিত, কী ভাবা উচিত। এই কারণে জুলিও গারো দেশের আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টসের পদে আর থাকছেন না।’
এমন সিদ্ধান্ত আসার পর অবশ্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন গারো। বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কাউকে আঘাত করা মোটেও আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এই কারণে আমি পদত্যাগপত্র দিয়েছি। তার পরেও আমি সব ধরনের বৈষম্যের বিপক্ষে থাকবো।’