শ্রীলংকা সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় হতাশার সাথে খুশির মাত্রাও আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর। সিরিজ না হওয়ায় হতাশা ঝড়েছে কোচের কন্ঠে। তবে তার মতে, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে আটকে থাকা কঠিনই হতো।
কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে কয়েক দিন আগে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজটি স্থগিত হয়ে যায়। সফরকারী দলের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে অনড় ছিলো শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড। লংকা সফর করলে হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে তো হবেই, সাথে অনুশীলনের সুবিধা পাবে না টাইগাররা। তবে বাংলাদেশ চেয়েছিলো, সাতদিনের কোয়ারেন্টাইন ও অনুশীলনের সুবিধা।
আজ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘শ্রীলংকা সফর হচ্ছে না বলে, আমি খুব হতাশ। তবে আমি মনে করি, দলের উপর যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল তাতে বিসিবির না যাবার সিদ্বান্তটি সঠিক ছিলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রস্তুতি ছাড়া ঘরের মধ্যে আটকে সময় নষ্ট করা এবং দশ দিনের মধ্যে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলা আমাদের পক্ষে খুব কঠিন হতো। আমি এই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন করছি।’
বিসিবির সিদ্ধান্তকে আরও সমর্থন করে ডোমিঙ্গো জানান, খেলোয়াড়রা যদি শ্রীলংকায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতো তবে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তো।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দু’জন খেলোয়াড় পাঁচ-ছয় দিন ধরে আইসোলেশনে আছেন। তারা জানিয়েছেন, মানসিক দিক বিবেচনায় এটি অত্যন্ত কঠিন।’
ডোমিঙ্গো বলেন, ‘শারীরিক দিক ভুলে, আমরা একটি হোটেলের ছোট রুমে ১৪ দিন আটকে থাকবো, এটি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। আমি মনে হয়, কিছু খেলোয়াড়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তবে এটি পুরোপুরিভাবে বোর্ডের সিদ্বান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিরিজ না খেলতে না পারার হতাশ রয়েছে, তবে খেলোয়াড়রা বোর্ডের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। তারা আরও বুঝতে পারছে ১৪ দিনের জন্য একটি ঘরে আটকে থাকলে মানসিকভাবে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। কয়েকজন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হতে পারে, তবে এক বা দু’জনের জন্য এটি কষ্টদায়ক ইস্যু। এই সিদ্ধান্তগুলি নেয়ার সময়, প্রত্যেকের অনুভূতির বিবেচনা করতে হবে এবং বোর্ড সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। (বাসস)