ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শিয়ালধরা বাজারের ওষুধের দোকানি মাজহারুল ইসলাম ওরফে পল্টন হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে ৭ জনকে।
আজ (মঙ্গলবার) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- একলাছ উদ্দিন ওরফে জুয়েল, ফারুক মিয়া, রুমা আক্তার, আবুল কালাম আজাদ ওরফে পিনু ডাক্তার, চন্দন, আবুল কাশেম ওরফে বাচ্চু মেম্বার, কবির মিয়া, আবুল কাশেম, বাদল মিয়া, শুক্কুর আলী ওরফে আশ্রাফ আলী। এদের মধ্যে ফারুক মিয়া ও রুমা আক্তার পলাতক।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- বদরুল আলম ওরফে বদরুল, ইসমাইল হোসেন, কাজল মিয়া, আফতাব উদ্দিন ওরফে আক্রাম আলী, আবু সিদ্দিক, দুলাল ও রফিক।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বা ১ মার্চ সকালে মাজহারুলকে তার ওষুধের দোকানে মাথা ও কপালে আঘাত করে খুন করা হয়। হত্যার পর দোকানের ভেতরে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে গামছা দিয়ে মরদেহ বেঁধে রেখে দোকানে তালা দিয়ে চলে যায় আসামিরা। ঘটনার দিনই মাজহারুলের বোন বিউটি আক্তার বাদী হয়ে নান্দাইল থানায় হত্যা মামলা করেন।
পরের বছরের ৩১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নান্দাইল থানার পরিদর্শক জসিম উদ্দিন ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর জব্বর মোহরী নামে এক আসামি মারা যান। পরে আদালত জব্বর মোহরীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ১৭ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
মামলার চার্জশিটভুক্ত ৩০ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি