২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন ও ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদের সাজার ঘোষণা দিয়েছে বিশেষ আদালত। পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ আদালতে বেলা পৌণে ১২ টার দিকে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এই মামলার মোট ৪৯ আসামীর মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ আসামী রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন।
এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার ছাড়াও সড়কে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। প্রস্তুত রয়েছে জলকামান ও প্রিজন ভ্যান। বুধবার সকাল থেকে এই আদালতের চারপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক দোকানপাটও রয়েছে বন্ধ। এছাড়াও পুরো রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। গুরুতর আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। দীর্ঘ ১৪ বছর পর আলোচিত এই মামলায় রায় দেয়া হচ্ছে আজ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি